ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫ , ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

​চট্টগ্রামে জোড়া খুনের মামলায় সাজ্জাদ ৭ দিনের রিমান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ১৩-০৪-২০২৫ ০৭:১০:৩৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৩-০৪-২০২৫ ০৭:১০:৩৭ অপরাহ্ন
​চট্টগ্রামে জোড়া খুনের মামলায় সাজ্জাদ ৭ দিনের রিমান্ডে ​ফাইল ছবি
চট্টগ্রামে জোড়া খুনের মামলায় অভিযুক্ত সাজ্জাদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। 

এছাড়া তাকে নগর ও জেলার তিন থানার আরও ৮টি মামলায় গ্রেপ্তার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছে পৃথক তিন আদালত।

রোববার (১৩ এপ্রিল) বেলা দুইটার দিকে চট্টগ্রাম দ্বিতীয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইব্রাহীম খলিল জোড়া খুনের মামলায় তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিন সকালে কারাবন্দি শীর্ষ এই ‘সন্ত্রাসীকে’ কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলার হাটহাজারী থানার দুই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম নাজমুন নাহারের আদালত তা মঞ্জুর করেন।

এছাড়া একই দিনে পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে নগরের চান্দগাঁও থানার পাঁচটি মামলায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৪র্থ আদালত এবং বায়েজিদ থানার একটি মামলায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৫ম আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাকলিয়া থানার জোড়া খুনের মামলায় পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে সাজ্জাদের। আদালত শুনানি শেষে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

পাশাপাশি চান্দগাঁও এবং বায়েজিদ থানার ৬টি মামলায় আদালত সাজ্জাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছে।

চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট পরিদর্শক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সাজ্জাদকে আজ দুপুরে আদালতে হাজির করে হাটহাজারী থানার দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন। এরমধ্যে একটি হত্যা মামলা এবং অপরটি মারামারি সংক্রান্ত। তাকে হাজিরের সময় জেলা পুলিশ ও নগর পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়।’

ছোট সাজ্জাদ বায়েজিদ বোস্তামী থানার হাটহাজারীর শিকারপুরের মো. জামালের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১৫টিরও বেশি মামলা রয়েছে। 

গত ১৫ মার্চ দিবাগত রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি থেকে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ২৯ মার্চ দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় প্রাইভেটকারে দুর্বৃত্তের গুলিতে মো. আব্দুল্লাহ ও মো. মানিক নামে দুজন নিহত হয়।
এ ঘটনায় ১ এপ্রিল বাকলিয়া থানায় নিহত মোহাম্মদ মানিকের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী শারমিনসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী শারমিন তামান্নাকে হুকুমের আসামি করা হয়। 

বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ